মুজারাবানিতে ধস বাংলাদেশের, জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য ১৭৪
বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় সিলেট টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে খেলা শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর ১১টায় খেলা শুরু হয়। তবে দেরিতে খেলা শুরু হলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা আটকে থাকেনি। জিম্বাবুয়ের পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির বোলিং তোপে লাঞ্চ বিরতির আগেই গুঁটিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
- বৃষ্টি বাগড়ার পর চতুর্থ দিনে কোনো প্রকারেই সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দিনের প্রথম ৭ ওভারেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (৬০)। এরপর তারই দেখানো পথে হেঁটেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ (১১) এবং তাইজুল ইসলাম (১)। এরমাঝে মিরাজ এবং তাইজুল ফিরেছেন মোটে ৮ বলের ব্যবধানে।
এরপর প্রথম ইনিংসের মতোই হাসান মাহমুদকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন জাকের আলী। দুজনের ৩১ রানের ওই জুটির কল্যাণেই লিড ১৫০ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু ওয়েলিংটন মাসাকাদজার করা ৭৮তম ওভারে বাংলাদেশ হারায় দুই উইকেট। চতুর্থ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড অফে মুজারাবানিকে ক্যাচ দেন হাসান (১২)। পরের বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন খালেদ আহমেদ (০)।
শেষ ব্যাটার হিসেবে এসেছিলেন নাহিদ রানা। তাকে নন স্ট্রাইকে রেখে আগ্রাসী হওয়ার ভাবনা ছিল জাকেরের। তবে সেই প্রচেষ্টা থামলো ৫ বলে ৭ রান যোগ করার পরেই। দ্বিতীয় ইনিংসে মুজারাবানির ৬ষ্ঠ শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন জাকের আলী অনিক। বিদায়ের আগে ১১১ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। জিম্বাবুয়েও পেয়ে যায় ১৭৪ রানের ছোটখাটো লক্ষ্য।
অবশ্য পুরো টেস্টেই বাংলাদেশের ওপর খানিক চেপে বসেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছিল ১৯১ রান। একমাত্র মুমিনুল হকের ৫৬ রান ছাড়া বলার মতো সংগ্রহ ছিল না কারোরই। জবাবে ব্রায়ান বেনেট (৫৭) এবং শন উইলিয়ামসের (৫৮) ব্যাটে চড়ে ৮২ রানের একটা লিড পেয়েও যায় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দলীয় ১৩ রানেই হারায় সাদমান ইসলামের উইকেট। এরপর জয়-মুমিনুল জুটি স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪৪ রান। শান্ত পরবর্তীতে ফিফটি পেয়েছেন। লিড উঠেছিল ১১২ রান পর্যন্ত। কিন্তু চতুর্থ দিনে এসে ব্যাটিং ব্যর্থতার সেই পুরাতন গল্প ম্যাচের লাগাম তুলে দিল জিম্বাবুয়ের কাছে।
