‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও’

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিলো জামায়াত-শিবির। তবে আন্দোলন আংশিক সফল হওয়ার পরে কেন যেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘আ.লীগ নিষিদ্ধের কর্মসূচিতে যমুনা বা শাহবাগ ঘেরাওয়ে সর্বশক্তি নিয়ে উপস্থিত ছিলো জামায়াত-শিবির। জাশি ও এনসিপির নেতাদের একসাথে বসে ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। অন্যান্য ইসলামিক দলেরও ভাল সাপোর্ট ছিলো। আমার ধারণা যমুনা ও শাহবাগে ঘেরাওয়ে ৬০% বিভিন্ন ইসলামিক দলের নেতাকর্মী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো। আরও বেশিও হতে পারে। মূলত তারা উপস্থিত না হলে আন্দোলনটা জমতো না। তবে আন্দোলন আংশিক সফল হওয়ার পরে কেন যেন, এনসিপির নেতারা জামায়াত-শিবিরের তকমা থেকে বের হতে চাচ্ছে। কিন্তু সরাসরি এনসিপির কমিটিতেই শিবিরের বেশসংখ্যক নেতা আছে। যারা বিরুদ্ধে বলছে, তাদের কেউ কেউ শিবিরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। যাইহোক, এখন রাজনীতি করতে গেলে তাদের প্রগতিশীল হয়ে উঠতেই হবে!’

রাশেদ খান আরও লেখেন, কোন কোন মহল থেকে অভিযোগ আসছে, শাহবাগের প্রতিশোধ নিয়েছে জামায়াত শিবির! আমি সেভাবে বলতে চাইনা, কারণ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জনগণের পক্ষ থেকে আছে। তাদের প্রশ্ন, যমুনার আন্দোলন কেন শাহবাগে গেলো?!
পোস্টের একেবারে শেষে তিনি লেখেন, জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ, এখন তাদেরকে পাকিস্তানপন্থি বলে চালিয়ে দাও... এবারের ঘটনা থেকে জাশির যদি ন্যূনতম শিক্ষা হয়, তবে ডাক দিলেই আর আগের মত দৌড় দিবে না। আর যদি তারা মনে করে, চড় মেরে ক্ষমা চাইলেও সব ক্ষমা করে দেওয়া যায়, তবে আবার ডাক আসলে, তারা আবার জনশক্তি নিয়ে হাজির হয়ে যাবে ....! আর যদি তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্যই হয়, অন্যের আহ্বানে জনশক্তি সরবরাহ করা। তবে এক্ষেত্রে আমার কোন মন্তব্য নেই।