সেদিন কোনো পাতা ফাঁদে পা দেয়নি ছাত্রশিবির: সাদিক কয়েম

গত বছরের এই দিনে ‘জুলাই বিপ্লব’ পরবর্তী ছাত্র জনতার স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে দমন করতে চরম ব্যর্থ হয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনা সরকার। ঠিক এক বছর আগে ১ আগস্ট, ছাত্রসংগঠনটির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সাদিক কায়েম বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবির সেদিন কৌশলী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকারের পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে আন্দোলনের সার্বজনীনতা বজায় রাখে। সংগঠনটি দল, মত, শ্রেণি ও লিঙ্গভেদ ভুলে জনতার কাতারে থেকেই আন্দোলনকে নতুন গতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গড়ে ওঠে গণভবন অভিমুখী সর্বস্তরের ঐক্যবদ্ধ লড়াই, যা শেষ পর্যন্ত ‘ফতহে গণভবন’-এ রূপ নেয়।
জুলাই বিপ্লবে দেশবাসীর স্বতস্ফুর্ত আন্দোলনকে মোকাবেলায় চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে সবশেষে সকল দায় ইসলামী ছাত্রশিবিরকে দিয়ে গতবছরের আজকের এই দিনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
মূলত এই নিষিদ্ধ করাই ছিল ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর ক্রাকডাউন চালানো এবং ছাত্রশিবিরকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলার মিশনের বৈধতা। তারা ভেবেছিলো ছাত্রশিবিরের টুটি চেপে ধরলেই জুলাই বিপ্লবের গতি থেমে যাবে, আবারো টিকে যাবে জুলুমশাহীর গদি।
কিন্তু বিপ্লবী নেতৃবৃন্দের দূরদর্শী সিদ্ধান্তে সেদিন কোনো পাতা ফাঁদে পা দেয়নি ইসলামী ছাত্রশিবির।
আন্দোলনের সার্বজনীনতা ধরে রাখতে ছাত্রশিবির কৌশল, পরিকল্পনা ও আরো দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলে জনতার কাতারে থেকেই। যার ধারাবাহিকতায় দল, মত, শ্রেণী, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে নিশ্চিত হয় ফতহে গণভবন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সর্বদাই রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন ভূমিকা রেখেছে। আধিপত্যবাদ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিজ্ঞাবদ্ধভাবেই লড়াই করে আসছে জন্মলগ্ন থেকে। ছাত্রশিবিরকে মুছে দিতে যতই অপচেষ্টা করা হোক না কেন, শিবিরের অস্তিত্ব এই দেশের মাটি-মানুষের সাথে সর্বদাই মিশে থাকবে, ইনশাআল্লাহ।