ব্যাংককে ইউনূস–মোদির বৈঠকে সম্পর্কের স্থবিরতা কাটবে, আশা বাংলাদেশের

আগামী মাসে ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেস্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে দিল্লিকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা। এপ্রিলে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বৈঠক হলে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে স্থবিরতা রয়েছে, তা কেটে যাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার চীনে দ্বিপক্ষীয় সফর এবং থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই শীর্ষ নেতার আলোচনার বিষয়ে গত ১৯ মার্চ ভারতকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে ভারত জবাব দিয়েছে কি না জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন বলেন, বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের জন্য প্রস্তত বাংলাদেশ। এ বৈঠক নিয়ে ভারতের দিক থেকে ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় আছে ঢাকা। আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, আমরা এই বৈঠকের জন্য প্রস্তুত আছি। ভারতের দিক থেকে আমরা একটা ইতিবাচক উত্তরের অপেক্ষায় আছি।
ইউনূস-মোদির বৈঠকের জন্য ঢাকা প্রস্তুত, তবে কি দিল্লি প্রস্তুত না? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দিল্লি প্রস্তুত কি না, সেটা দিল্লি বলবে। আমরা এই বৈঠকের অপেক্ষায় থাকব।
এই বৈঠকের সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে চাইলে জসীম উদ্দিন বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বর্তমান যে প্রেক্ষাপট সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠকটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি এবং আমরা আশা করছি এই বৈঠকটি যদি অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে সৃষ্ট স্থবিরতা, সেটি কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
প্রসঙ্গত আগামী ২ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।