সমাবেশ থেকে হাসপাতালে জামায়াত আমির

১৯ জুলাই ২০২৫ - ১৪:১২ অপরাহ্ণ
 0
সমাবেশ থেকে হাসপাতালে জামায়াত আমির

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে মঞ্চেই ঢলে পড়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বক্তব্য শুরুর কিছুক্ষণ পরই তিনি ঢলে পড়েন।

পরে নেতাকর্মীরা দ্রুত তাকে সামলে নেন। এরপর তিনি আবার উঠে বক্তব্য শুরু করলেও কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয়বারের মতো পড়ে যান। এরপর তিনি মঞ্চেই বসে বক্তব্য শেষ করেন।

জামায়াতে ইসলামী সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশ শেষে ড. শফিকুর রহমানকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার রক্তচাপ ও রক্তে সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক আছে এবং আগের থেকে তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

সমাবেশে বক্তব্যে জামায়াত আমির বলেন, আগামীর বাংলাদেশে আরেকটা লড়াই হবে। একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। সেই লড়াইয়েও আমরা জয় লাভ করব।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে কোনো এমপি-মন্ত্রী সরকারি প্লট গ্রহণ করবে না, ট্যাক্সবিহীন গাড়ি চড়বে না, নিজের হাতে টাকা চালাচালি করবে না। কোনো এমপি-মন্ত্রী যদি নির্দিষ্ট কাজের জন্য বরাদ্দ পেয়ে থাকেন কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে তার প্রতিবেদন তুলে ধরতে বাধ্য থাকবেন।

তিনি বলেন, চাঁদা আমরা নেব না, দুর্নীতি আমরা করব না, সহ্যও করব না। এমন বাংলাদেশ আমরা দেখতে চাই।

বক্তব্যে আবেগপ্রবণ কণ্ঠে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমার আফসোস, যারা ২০২৪ সালে শহিদ হয়েছেন, আমি তাদের সঙ্গে শহিদ হতে পারিনি। আপনাদের কাছে দোয়া চাই, আগামী দিনের ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে আল্লাহ যেন আমাকে শহিদের মর্যাদা দান করেন।

জামায়াত আমির বলেন, আমি এখানে জামায়াতের আমির হিসেবে নয়, ১৮ কোটি মানুষের একজন প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি। শিশুদের বন্ধু, যুবকদের ভাই, প্রবীণদের সহযোদ্ধা হয়ে এসেছি, এই জাতির মুক্তির প্রত্যয়ে।

তরুণ প্রজন্মকে বিশেষভাবে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তোমরা শুধু দর্শক হয়ে থাকবে না, এই দেশ গঠনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। এটা শুধু কোনো শ্রেণির যুদ্ধ নয়, এটা চাষি, মজুর, ছাত্র, যুবক সব শ্রেণির মানুষের যুদ্ধ।

এর আগে বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, আজকের সমাবেশে আসার পথে আমাদের তিন ভাই ইন্তেকাল করেছেন। তাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি। আল্লাহ তাদের জান্নাত দিন। পরিবারকে ধৈর্য ধরার তাওফিক দিন।