শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত লক্ষ্মীপুরের ব্যবসায়ী

১২ জুলাই ২০২৫ - ১৪:১১ অপরাহ্ণ
 0
শেখ হাসিনার চীন সফর নিয়ে বিতর্ক, বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত লক্ষ্মীপুরের ব্যবসায়ী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীন সফরসহ একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে দল থেকে বাদ দিয়েছে রামগঞ্জ পৌর বিএনপি।

গত শুক্রবার রাতে রামগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মো. কামরুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ ও সদস্যসচিব তোফাজ্জল হোসেনের স্বাক্ষরে প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। দলীয় প্যাডে প্রকাশিত চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেড–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)–এর সভাপতি। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৫ সালের আগস্টে রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং পৌর বিএনপির সদস্য পদ লাভের জন্য আবেদন করেন।

রামগঞ্জ বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব ব্যক্তি আওয়ামী লীগপন্থী অবস্থান নিয়েছেন, শেখ হাসিনার নীতি-চেতনা প্রচার করেছেন বা স্বৈরতন্ত্রবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন—তাঁদের বিএনপির কোনো পর্যায়ে স্থান নেই। এ কারণে জহিরুল ইসলামের সদস্য ফরম বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে যখন দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলছিল, ঠিক সে সময়ে জহিরুল ইসলাম শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে চীন ভ্রমণ করেন। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় তিনি শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং বিএনপির সমালোচনা করে মন্তব্য করেন, যা বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, "আমি বর্তমানে দেশের বাইরে আছি, সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। তবে শেখ হাসিনার সঙ্গে চীন সফরের অভিযোগ সঠিক নয়। তৎকালীন পরিস্থিতিতে আমাদের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।"

রামগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মো. কামরুজ্জামান বলেন, “জহিরুল ইসলাম ২০২২ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের সময় শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে চীন গিয়েছিলেন। তাঁর অতীত কর্মকাণ্ড ও অবস্থান দলীয় আদর্শের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তাঁকে দলে রাখা সম্ভব নয়। বিএনপির ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”