ঈদযাত্রায় লঞ্চে যাত্রী কম, সরগরম সড়ক ও রেলপথ

৩ জুন ২০২৫ - ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ
 0
ঈদযাত্রায় লঞ্চে যাত্রী কম, সরগরম সড়ক ও রেলপথ

আগামী ৭ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলিমদের অন্যতম বড় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে রাজধানী ছাড়ার হিড়িক ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ঢাকার রেলস্টেশন ও সড়কপথে ঈদযাত্রার চেনা ব্যস্ততা লক্ষ করা গেলেও ব্যতিক্রম সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল। যেখানে ঈদের মৌসুমেও যাত্রী সংকট স্পষ্টভাবে চোখে পড়ছে।

৩ জুন সকালে সরেজমিনে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অন্যান্য ঈদের সময় যেখানে লঞ্চঘাটে তীব্র ভিড় ও কোলাহল থাকে, এবার তা অনুপস্থিত। অনেক লঞ্চেই দেখা গেছে স্বল্পসংখ্যক যাত্রী, কেবিনের বেশিরভাগ টিকিটই অবিক্রীত রয়ে গেছে। এমনকি পণ্য টানার কুলি-মজুরদের মধ্যেও নেই তেমন তৎপরতা।

সড়ক ও রেলপথে কিন্তু ভিন্ন চিত্র। কমলাপুর রেলস্টেশন যাত্রীদের উপস্থিতিতে ছিল সরগরম। সময়মতো ট্রেন ছাড়ায় যাত্রীরাও ছিলেন সন্তুষ্ট। স্টেশনে টিকিটবিহীন যাত্রীদের প্রবেশ ঠেকাতে চেকপোস্ট ও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। হকার ও ভাসমান লোকজনকেও স্টেশন চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম।

বাস টার্মিনালগুলোতেও এবারের যাত্রাপথ তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক। অতিরিক্ত ভাড়া কিংবা দীর্ঘ লাইনের চিত্র নেই। পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ঈদের এক-দুদিন আগে চাপ কিছুটা বাড়তে পারে।

লঞ্চ যাত্রায় ভিড় না থাকার পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে পদ্মা সেতুর প্রভাবকে। সেতু চালুর পর দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ সড়কপথে ভ্রমণকেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যজনক মনে করছেন। ফলে নৌপথে যাত্রী কমে গেছে। বিশেষ করে বরিশাল রুটে যাত্রী সংকট বেশি।

সদরঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, ঈদ উপলক্ষে নতুন কোনো লঞ্চ চলাচলে যুক্ত হয়নি এবং ভাড়াও বৃদ্ধি পায়নি। বর্তমানে ১২০টি লঞ্চ ৩৮টি রুটে চলাচল করছে। পরিস্থিতি বুঝে ৩ জুনের পর অতিরিক্ত লঞ্চ চালু হতে পারে বলে জানান তিনি।

ঢাকা ইংল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদের মতে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ছুটি শুরু হলে নৌপথে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। তাদের পাশাপাশি কিছু অভ্যস্ত কেবিন যাত্রীও রয়েছেন যারা ঈদের আগমুহূর্তে যাত্রা করেন।

নৌ চলাচলে যাত্রী নিরাপত্তা ও অন্যান্য সেবাদানে তৎপর রয়েছে নৌ-পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন জানান, ঘাটে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে একাধিক সমন্বয় সভা করা হয়েছে। যাত্রী যেন কোনো দুর্ভোগে না পড়েন, সেজন্য সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।