এখনো লড়ছেন জুলাই যোদ্ধা মহিবুল্লাহ

২৬ মার্চ ২০২৫ - ১৩:৫৬ অপরাহ্ণ
 0
এখনো লড়ছেন জুলাই যোদ্ধা মহিবুল্লাহ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মহিবুল্লাহ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে লড়ছেন শারীরিক যন্ত্রণার সঙ্গে। তার দুই পা এখনো অবশ। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন। 

কিন্তু বিদেশে পাঠিয়ে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য যে অর্থের দরকার তা তার পরিবারের পক্ষে সংস্থান করা সম্ভব হচ্ছে না।এ জন্য মহিবুল্লাহ সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। মুহিবুল্লাহ জুলাই যোদ্ধা হিসেবে সনদপত্র পেয়েছেন। তার সনদ  নম্বর-১২৯৬৬। তার বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলার গুযারঢ়িয়ায়।

মা আমেনা বেগম ও বাবা শরীয়তউল্লা ছেলের সুস্থতা কামনায় শুধু দিন শুনলেও ছেলের বিদেশে চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে পারছেন না।জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই বিকেলে মহিবুল্লাহ নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় গুলিবিদ্ধ হন। খুব কাছ থেকে তাকে কে বা কারা গুলি করে। গুলি তার গলা ভেদ করে বের হয়ে যায়।
মুমূর্ষু অবস্থায় তার সহযোদ্ধারা তাকে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করেন। সেদিন সন্ধ্যা থেকে তার অভিভাবক হিসেবে ঢাকার শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা জিয়াউল খান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিবুল্লাহর ভর্তি থেকে শুরু করে সার্বক্ষণিক দেখশোনা ও অন্যান্য সহযোগিতা করেন। শুরু থেকেই তিনি চিকিৎসার খরচ জোগান দিচ্ছেন।

গত বছরের ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় মহিবুল্লাহকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতাল থেকে তাকে সাভারের সিআরপিতে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিসকরা। পরে গত ১০ আগস্ট তাকে সাভারের সিআরপিতে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রায় সাত মাস চিকিৎসাধীন থাকের আহত ওই শিক্ষার্থী। পরে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য মহিবুল্লাহকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল-সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। এখন সে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি। 

সিএমইচের রোগীর অবস্থা সম্পর্কিত সংশ্লিষ্ট বিবরণীতে বলা হয়েছে, মহিবুল্লাহর দুই পা অবশ হয়ে গেছে। সাভারের সিআরপি থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার ডান হাতের পেশিশক্তি ও অন্যান্য বিষয়ে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তার সাইকো থেরাপি দেওয়াসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা চলছে। তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। 

আহত মুহিবুল্লাহ বলেন, ‘সিএমএইচে আমার চিকিৎসা চলছে। এখানকার চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। আমি সরকারের কাছেও কৃতজ্ঞ। আমার বড় ভাই ও অভিভাবক জিয়াউল খান আমার চিকিৎসার খরচ জোগাচ্ছেন। কিন্তু আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য যে খরচ দরকার তা আমার পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। এ কারণে সরকারের আরো সহায়তা কামনা করছি।’