‘আমার আর ঘর বলতে কিছু রইল না’

২৭ নভেম্বর ২০২৫ - ০৬:২০ পূর্বাহ্ণ
 0
‘আমার আর ঘর বলতে কিছু রইল না’

হংকংয়ে তাই পো জেলার ওয়াং ফুক কোর্ট আবাসিক কমপ্লেক্সে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আরও ৪৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে এই দুর্ঘটনায় এখনও ২৭৯ জন নিখোঁজ বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর বিবিসির

আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো কিছু অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এদিকে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডকে হংকংয়ের ফায়ার সার্ভিস লেভেল-৫ (সর্বোচ্চ মাত্রা) অগ্নি-দুর্ঘটনা হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। গত ১৭ বছরের মধ্যে এটাই হংকংয়ের প্রথম লেভেল-৫ অগ্নি-দুর্ঘটনা।

আগুন লাগার পরপরই অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের ১ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের অনেকে অবশ্য ভবনে আটকে পড়া স্বজন ও বন্ধুদের অপেক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। প্রায় ৪০ বছর ধরে ওয়াং ফুক কোর্ট কমপ্লেক্সে বাস করা ৬৬ বছর বয়সি হ্যারি চেউং বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রচণ্ড জোরে আওয়াজ হয়, তাকিয়ে দেখি পাশের ব্লকে আগুন। সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে গিয়ে নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে বের হয়ে গেছি। আমার অনুভূতি এখন বলে বোঝানো কঠিন।’

ওয়াং ফুক কোর্টের পাশের আবাসিক কমপ্লেক্স কোয়াং ফুক এস্টেটে বাস করা এক নারী সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, আগুন লাগার পর তার বেশ কয়েকজন বন্ধুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

৬৫ বছর বয়সি জেসন কং রয়টার্সকে জানান, তার এক প্রতিবেশী ভবনে আটকা পড়ার কথা ফোনে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিধ্বস্ত। দেখুন, অ্যাপার্টমেন্টগুলো পুড়ছে। আমি জানিনা কী করব।’

বয়স্ক এক নারী বিবিসিকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনে অবস্থান না করায় প্রাণে বেঁচে গেছেন। কিন্তু আশ্রয় হারিয়ে তিনি এখন দিশেহারা, ‘আমি ভেঙে পড়েছি। আমার আর ঘর বলতে কিছু রইল না।’