পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ধ্বংস নিয়ে ভারতের নতুন দাবি
কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারত–পাকিস্তান সম্পর্ক। সেই সময় পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান তারা ভূপাতিত করেছে। তবে নয়াদিল্লি তৎকালীন সময়ে সে দাবি অস্বীকার করলেও পাল্টা কোনো মন্তব্য করেনি। সংঘাতের চার মাস পর এবার নতুন দাবি তুললেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এপি সিং।
শুক্রবার এক বক্তব্যে তিনি জানান, ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে ভারতীয় বাহিনী। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ–১৬ এবং চীনা তৈরি জে–১৭ যুদ্ধবিমানও রয়েছে। সিং বলেন, “ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের খবর আসলে নিছক প্রোপাগান্ডা, যা পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে ছড়িয়েছে।” — খবর রয়টার্স ও এনডিটিভির।
তিনি আরও জানান, পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ও ক্যাম্পে হামলা চালায়। ৩০০ কিলোমিটারজুড়ে পরিচালিত এই অভিযানের পর পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়। এপি সিং স্পষ্ট করে বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতা বা কোনো আন্তর্জাতিক চাপের কারণে হয়নি।”
ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধানের দাবি—“অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষের হত্যার মূল্য চুকিয়েছে সন্ত্রাসীরা, আর আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে—তা পুরো বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে।”
অন্যদিকে, পাকিস্তান আগেই দাবি করেছিল তারা ভারতের তিনটি রাফালসহ মোট ছয়টি যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে। বিবিসি ভেরিফাই জানিয়েছিল, ভারতের পাঞ্জাবের ভাতিন্ডা অঞ্চলের একটি কৃষিক্ষেত থেকে রাফাল বিমানের ধ্বংসাবশেষ সরানোর ভিডিও তারা যাচাই করে সত্যতা পেয়েছে।
পরে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন রাজা নাকভি জানান, তাদের কাছে ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ভিডিও প্রমাণ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ভারতের পরিকল্পনা সম্পর্কে আগেই বিস্তারিত তথ্য পেয়েছিল। তারা জানত, ভারত কোন ধরনের বিমান নিয়ে কোন মিশনে আসছে। গোয়েন্দা সংস্থার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যদিও তারা সামনে আসে না।”