দুই আন্দোলনে অচল ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল থেকে এই কর্মসূচির কারণে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অন্যদিকে, ইশরাক হোসেনের পক্ষে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে যমুনা থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নেন তার সমর্থকরা। দুপুর সাড়ে ১১টার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা যোগ দেন। বিক্ষোভের কারণে সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, সাম্যের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেইসঙ্গে আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে এ অবস্থান কর্মসূচি। অবরোধের কারণে শাহবাগ, কাঁটাবন, বাংলামোটর, টিএসসি, নিউমার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হন।
এছাড়াও, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা থেকে মৎস্য ভবন মোড় পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়েছেন ইশরাক সমর্থকরা।সড়ক দখল করে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। ইশরাকের মেয়র পদে বসার পথ সুগম হলেও এবার তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দেন। দুপুরে ইশরাক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানান। এরপর থেকে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়।
ফলে যমুনা থেকে কাকরাইল, হেয়ার রোড, সার্কিট হাউজ ও মৎস্য ভবন মোড় হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মৎস্য ভবন মোড়ের অবস্থান ছড়িয়ে পড়ে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত। ঘুরপথে চললেও গণপরিবহন আটকে পড়ে।