গাজায় গণহত্যা বন্ধে ওআইসির জরুরি বৈঠকের আহ্বান বাংলাদেশের, সমর্থনে ইরান

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রেক্ষাপটে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ওআইসি’র জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ও ইরান।
এ আহ্বান জানানো হয় বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন-এর মধ্যকার এক টেলিফোনালাপে। খবর জানিয়েছে প্রেস টিভি ও মেহের নিউজ এজেন্সি।
আলোচনায় গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা, পানি ও খাদ্য অবরোধ এবং সাধারণ মানুষের ওপর চালানো গণহত্যার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। আরাঘচি বলেন,
"নেতানিয়াহু সরকারের নেতৃত্বে গাজাবাসীর ওপর চালানো মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিষ্ঠুরতা গণহত্যার শামিল।"
তিনি আরও বলেন, এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় কেবল ওআইসি নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে।
টেলিফোন আলোচনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান এবং বলেন,
"ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় এখনই কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপ জরুরি। ওআইসিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব নিতে হবে।"
দুই পক্ষই গাজায় মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখা, যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে জরুরি ও আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
আব্বাস আরাঘচি আরও বলেন, পশ্চিম তীরকে একতরফাভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে দেখানোর যে চেষ্টা চলছে, তা আসলে এক বৃহৎ জায়নবাদী প্রকল্পের অংশ, যার লক্ষ্য ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া। তিনি এটিকে "গণবিধ্বংসী রাজনৈতিক নকশা" বলে উল্লেখ করেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৫৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৯৮ জন।
এ ছাড়া গাজার প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দা এখন বাস্তুচ্যুত ও মানবিক সংকটে দিন কাটাচ্ছেন।