মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর বর্বরতা: গ্রেপ্তার ৫, প্রধান অভিযুক্ত হাসপাতালে

২৯ জুন ২০২৫ - ০৯:৫৮ পূর্বাহ্ণ
 0
মুরাদনগরে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর বর্বরতা: গ্রেপ্তার ৫, প্রধান অভিযুক্ত হাসপাতালে

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে রোববার (২৯ জুন) ভোরে গ্রেপ্তার করা হয় প্রধান আসামি ফজর আলীকে। অভিযুক্তদের মধ্যে বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শনিবার (২৮ জুন) রাতভর অভিযান চালিয়ে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান অভিযুক্ত ফজর আলী কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্য চারজনকে কুমিল্লা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশনস) রাশেদুল হক চৌধুরী।

তিনি জানান, স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর গণপিটুনির শিকার হন ফজর আলী। গুরুতর আহত অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং আত্মগোপনে থাকার চেষ্টা করেন। তবে রোববার ভোরে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারের সময়ও তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং সুস্থ হওয়ার পর তার জবানবন্দি নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

এএসপি আরও বলেন, ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঘটনার পেছনের বর্ণনায় জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে হোমনা থেকে বাবার বাড়ি পাঁচকিত্তা গ্রামে বেড়াতে আসেন এক নারী। সেখানেই শহিদ মিয়ার ছেলে ফজর আলী কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় পাশের কয়েকজন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী নারীকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান এবং ভিডিও ধারণ করেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পরদিন শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে ওই নারী মুরাদনগর থানায় ফজর আলীসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। জানা গেছে, তিনি দুই সন্তানের জননী এবং তার স্বামী মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে কর্মরত।

ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।