চট্টগ্রাম বন্দরে এক দিনেই রপ্তানি হয়নি সাড়ে ৩ হাজার কনটেইনার

কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাটডাউন কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে এক দিনেই ৩ হাজার ৬৮০ একক রপ্তানি কনটেইনার জাহাজে তোলা যায়নি। এর মধ্যে বেশিরভাগ কনটেইনারে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য। ফলে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে এসব পণ্য সময়মতো পৌঁছানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এই তিন জাহাজের মধ্যে রয়েছে ‘এএস সিসিলিয়া’, যেটি ৫৬৪ একক কনটেইনার নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। সিঙ্গাপুর থেকে এসব কনটেইনার ইউরোপ-আমেরিকাগামী বড় জাহাজে তোলার পরিকল্পনা ছিল। এছাড়া ‘এক্সপ্রেস নিলওয়ালা’ জাহাজে ১ হাজার ৪৬০ একক এবং ‘হং ডা জিন-৬৮’ জাহাজে ১ হাজার ৬৬৬ একক কনটেইনার রপ্তানির কথা ছিল। কিন্তু রপ্তানি কনটেইনার না পাওয়ায় তিনটি জাহাজই জেটিতে বসে আছে।
শিপিং কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, রপ্তানি পণ্য প্রথমে কারখানা থেকে চট্টগ্রামের ১৯টি ডিপোতে আনা হয়। সেখানে শুল্কায়নের পর কনটেইনারে পণ্য বোঝাই করা হয় এবং পরে বুকিং অনুযায়ী বন্দরে পাঠানো হয়। কিন্তু কাস্টমস কর্মকর্তাদের শাটডাউনের কারণে ডিপোতে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।
বেসরকারি কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ডিপোতে প্রতিদিনই রপ্তানি পণ্যের স্তূপ বাড়ছে। তবে কাস্টমস কর্মকর্তারা না আসায় শুল্কায়ন কার্যক্রম হচ্ছে না। তাতে কোনো কনটেইনার বন্দরে পাঠানো যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কাস্টমসের কর্মসূচির কারণে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে প্রভাব পড়েছে। নতুন করে কোনো কনটেইনার খালাস হয়নি। রপ্তানি কনটেইনারও ডিপো থেকে আসেনি। কারণ, আমদানি-রপ্তানির শুল্কায়ন কার্যক্রম করে কাস্টমস।