ইইউ-বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি করতে আলোচনা শুরু

বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি (পিসিএ) নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত ইইউ সদর দপ্তরে শুরু হয়। পিসিএ-র লক্ষ্য হলো বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের জন্য একটি ব্যাপক এবং শক্তিশালী কাঠামো প্রদান করা, যাতে নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতা এবং উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যতের মিথস্ক্রিয়াগুলিকে নির্দেশনা দেয়া যায় এবং বহুমুখী ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়।
প্রথম দফার আলোচনায় বাংলাদেশ এবং ইইউর মধ্যে আরও আকর্ষণীয় এবং অর্থবহ অংশীদারিত্বের জন্য পারস্পরিক স্বার্থ এবং আকাঙ্ক্ষার রূপরেখা তুলে ধরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়। অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শাসনব্যবস্থা, জলবায়ু কর্মকাণ্ড, ডিজিটাল রূপান্তর, সংযোগ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অভিবাসন, দক্ষতা উন্নয়ন, টেকসই উন্নয়ন, মানবাধিকার, মানবিক পদক্ষেপ, সন্ত্রাসবাদ এবং শান্তি ও নিরাপত্তা।
উভয় পক্ষ গঠনমূলক সংলাপে অংশগ্রহণ অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে পিসিএ আলোচনা শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করেছে। পরবর্তী দফা আলোচনা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথম দফার শুরু উভয় পক্ষের তাদের অংশীদারিত্বকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশকে ইইউর সঙ্গে পিসিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দক্ষিণ এশীয় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।