উত্তরায় বিধ্বস্ত এফ-৭ বিজিআই, প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা সম্পর্কে যা জানা গেল

রাজধানীর উত্তরায় সোমবার (২১ জুলাই) বিধ্বস্ত বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ ও স্বল্পমাত্রার যুদ্ধ কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। দুর্ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠেছে-এই যুদ্ধবিমান কারা তৈরি করেছে? তাদের বর্তমান অবস্থা কী? তারা এখনো কি যুদ্ধবিমান নির্মাণ করেন? চলুন দেখে নেয়া যাক।
সিএসি মূলত সামরিক যুদ্ধবিমান উৎপাদনের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। চীনের অসংখ্য মডেলের ফাইটার জেট (যুদ্ধবিমান) এবং উন্নত ট্রেইনার জেট তাদের হাতে তৈরি। তবে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে এই সিরিজের সবচেয়ে আধুনিক মডেলের যুদ্ধবিমান সরবরাহের পর চীন এই সিরিজের উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা করে।
দেশে এই মডেলের যু্দ্ধবিমানের এটি তৃতীয় দুর্ঘটনা। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে টাঙ্গাইলের মধুপুরের রসুলপুর ফায়ারিং রেঞ্জে মহড়ার সময় বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। এতে উইং কমান্ডার আরিফ আহমেদ দিপু প্রাণ হারান। এরপর ২০২১ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামের জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের পর বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয় এফ-৭ এমবি। এ সময় ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ প্রাণ হারান।
চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন এখনও সক্রিয়ভাবে যুদ্ধবিমান তৈরি করছে এবং তারা বর্তমানে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেটও উৎপাদন করছে। তাদের সাম্প্রতিক উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো হলো: চেংদু জে-১০সি আধুনিক মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান, চীনের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি।
উত্তরার দুর্ঘটনার পর এফ-৭ বিজিআই মডেলটির নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করেছে, সেই চেংদু এয়ারক্রাফট করপোরেশন বর্তমানে চীনের সামরিক বিমান প্রযুক্তির শীর্ষে রয়েছে। তবে পুরোনো মডেলের বিমানগুলো কতটা নিরাপদ এবং কার্যকর তা নিয়ে এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ভাবনার সময় এসেছে।
বিভিন্ন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মোট ৩৬টি এফ-৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই এফ-৭ বিজিআই ধরনের। তবে এফ-৭ এমবি এবং এফটি-৭ মডেলেও রয়েছে। তবে মোট ফাইটার ভেরিয়েন্ট রয়েছে ৩৬টি।