স্বজনরা জোড় করে নিহতদের লাশ নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

২০ জুলাই ২০২৫ - ১৩:৩৫ অপরাহ্ণ
 0
স্বজনরা জোড় করে নিহতদের লাশ নিয়ে যাওয়ায় ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

গোপালগঞ্জে গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষে নিহতদের লাশের ময়নাতদন্ত না হওয়ার কারণ জানিয়েছে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করার অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অসত্য বলে দাবি করা হয়েছে।

রোববার (২০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্ত না করার বিষয়ে কিছু সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনদের বক্তব্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করে। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।

এতে বলা হয়েছে,  প্রকৃত ঘটনা এই যে, উল্লেখিত তারিখে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর জরুরি বিভাগে প্রথম মৃতদেহটি আসে। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষ করে লাশ নেয়ার কথা বললে নিহতের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং এক পর্যায়ে জোরপূর্বক লাশ নিয়ে যান। পরবর্তীতে বাকি মৃতদেহগুলোর স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয় না এবং হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোরপূর্বক মৃতদেহ নিয়ে যায়। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং চারিদিকে সংঘর্ষ চলমান থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসহায় বোধ করে। তাছাড়া আহত লোকজনের চিকিৎসা দেয়ার জন্য ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ডবয় এবং অন্যান্য কর্মচারী আত্মনিয়োগ করায় এবং বাহিরের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনা পুলিশকে মোবাইল ফোনে এবং লিখিতভাবে জানানো হয়।’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা বিশ্বাস করি গোপালগঞ্জবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ পরিবার সর্বদা আত্মনিয়োজিত। আমরা আশা করি উল্লেখিত বিবৃতির মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।