মিটফোর্ডের ঘটনায় ৫ জন বহিষ্কার, এক বছরে হাজারেরও বেশি: যুবদল

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে ৫ জনকে বহিষ্কার করেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল। এছাড়াও নানা অপকর্মের দায়ে গত এক বছরে হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি মিটফোর্ডের ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে দায় অস্বীকার না করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, আমরা গতকালই পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছি। গত এক বছরে হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন কি যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে? না নিয়ে থাকলে কেন নেয়নি, তা জানতে চাই।
৩ আসামিকে বাদ দেয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, নিহত লাল চাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট তিনজনের নাম দেয়া হলেও মামলার এজাহারে তাদের বাদ দিয়ে নতুন তিনজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এমনকি সিসিটিভি ফুটেজে যাদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত দেখা গেছে, তারা প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখও হয়নি।
আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা জানতে চাই, কারা এবং কেন আসল তিন আসামিকে বাদ দিয়ে নতুন তিনজনকে মামলার আসামি করল? ঘটনাটি বুধবার ঘটলেও শুক্রবার তা গণমাধ্যমে প্রচার পেয়েছে এই বিলম্বের নেপথ্যেও কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করতে হবে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, গতকাল খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। একইদিনে চাঁদপুরে খুতবার সময় এক ইমামকে হত্যাচেষ্টাও করা হয়। এটি একটি সহিংস গোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক চর্চার অংশ। এসব ঘটনার পেছনেও তাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
যুবদল সভাপতির অভিযোগ, বর্তমানে প্রশাসনিক ব্যর্থতার সুযোগে একটি বিশেষ গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সিলেকটিভ প্রতিবাদ এবং কুরুচিপূর্ণ প্রচার চালাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে যুবদল সভাপতি ছাড়াও অন্যদের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান উপস্থিত ছিলেন।