প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল মন্ত্রণালয়
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শনিবার (২ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্যই চালু রাখা হয়েছে, যাতে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে শিক্ষার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের শিক্ষা জরিপ অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। আর কিন্ডারগার্টেনে অধিকাংশই তুলনামূলকভাবে স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসা। ফলে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ এসব দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষায় আগ্রহ বাড়াতে সহায়ক হবে।
এর আগে গত ২৩ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ অভিযোগ করে, সরকারি পরিপত্রের মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন ও সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা এ সিদ্ধান্তকে বৈষম্যমূলক দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করে।
সংগঠনটির দাবি, দেশে প্রায় ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ১ কোটির বেশি শিক্ষার্থী এবং ৮ লাখের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। তারা প্রাথমিক শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অথচ, পরিপত্র অনুযায়ী শুধুমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই-সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষায়’ অংশ নিতে পারে না, যেটি কিন্ডারগার্টেনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হয়। একইভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষাও শুধুমাত্র সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।