অভিনয় থেকে র‍্যাপ, স্টাইল থেকে ব্যবসা—কোটিপতি জ্যাডেন স্মিথ

৮ জুলাই ২০২৫ - ১৫:০১ অপরাহ্ণ
 0
অভিনয় থেকে র‍্যাপ, স্টাইল থেকে ব্যবসা—কোটিপতি জ্যাডেন স্মিথ

আজ ৮ জুলাই, জনপ্রিয় হলিউড তারকা জ্যাডেন স্মিথের জন্মদিন। ১৯৯৮ সালে জন্ম নেওয়া এই তরুণ আজ ২৮ বছরে পা রাখলেন। অস্কারজয়ী অভিনেতা উইল স্মিথের ছেলে জ্যাডেন কেবল অভিনয় বা সংগীত দিয়েই নয়, নিজের জীবনযাত্রা, স্টাইল ও ব্যক্তিজীবন নিয়েও বরাবরই ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে।

জ্যাডেনের অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই ছিল। মাত্র আট বছর বয়সে ২০০৬ সালে তিনি বাবার সঙ্গে 'দ্য পারসুট অব হ্যাপিনেস' সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন। সিনেমাটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলে অল্প সময়েই তাঁর হাতে চলে আসে একের পর এক ছবির প্রস্তাব। ২০০৮ সালে তিনি 'দ্য ডে দ্য আর্থ স্টুড স্টিল'-এ এবং ২০১০ সালে জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে 'দ্য ক্যারাটে কিড'–এ অভিনয় করে তরুণ তারকাদের কাতারে জায়গা করে নেন। ওই সিনেমার জন্যই কিশোর বয়সে তিনি আয় করেন এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া সায়েন্স-ফিকশন সিনেমা ‘আফটার আর্থ’-এ তিনি বাবার সঙ্গে পুনরায় স্ক্রিন শেয়ার করেন। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে আশানুরূপ সাফল্য পায়নি, তবে জ্যাডেনের পারফরম্যান্স প্রশংসিত হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর মনোযোগ যায় সংগীতের দিকে। নিজেই গান লিখতে শুরু করেন এবং র‍্যাপ ঘরানার সংগীতে নিজস্ব জায়গা তৈরি করেন।

২০১৪ সালে নিজের প্রথম গানের অ্যালবামের কাজ শুরু করেন, যা শেষ হতে তিন বছর সময় লাগে। যদিও তাঁর অ্যালবাম তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি, তবুও সিনেমা ও পারফরম্যান্সের জনপ্রিয়তার কারণে জ্যাডেনের চাহিদা বাড়তে থাকে বিভিন্ন লাইভ ইভেন্টে। সম্প্রতি তাঁকে রক ধাঁচের গান ও মিউজিক পারফরম্যান্সেও দেখা যাচ্ছে।

সংগীত ও সিনেমার বাইরেও জ্যাডেন হয়ে উঠেছেন এক ফ্যাশন আইকন। তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী স্টাইল, পোশাক এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ফটো ও ভিডিও একাধিকবার ভাইরাল হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়েছেন পোশাক ব্যবসার সঙ্গেও।

জ্যাডেনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ভক্তদের কৌতূহলের শেষ নেই। কৈশোর থেকেই তাঁর সঙ্গে একাধিক মডেল, গায়িকা ও অভিনেত্রীর নাম জড়িয়ে আলোচনায় আসে। তাঁদের মধ্যে ওডেসা অ্যাডলন, সুফিয়া রিচি, সাব জাদা ও টেলরের নাম গণমাধ্যমে উঠে আসে। খ্যাতি ও লাইমলাইটে থাকার ফলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অনেকটাই অগোছালো হয়ে পড়ে।

তবে বিতর্ক বা সমালোচনার বাইরে থেকে যায়নি তাঁর জীবনযাপন। বিলাসী জীবনের জন্য প্রায়ই সংবাদে উঠে আসেন তিনি। বলা হয়ে থাকে, জ্যাডেন জুয়ার টেবিলে লক্ষাধিক ডলার খুইয়েছেন। বন্ধু-বান্ধবী ও পার্টি আয়োজনে তাঁর খরচের পরিমাণ বছরে একাধিক মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। হোটেলে বিলাসবহুল থাকা, ঘন ঘন ভ্রমণ এবং পোশাকের পেছনে রয়েছে বিশাল বাজেট।

তবুও, তিনি দায়িত্বশীল কাজেও যুক্ত রয়েছেন। বহু দাতব্য কাজ ও সামাজিক উদ্যোগে সক্রিয় অংশ নেন জ্যাডেন। সব মিলিয়ে, অভিনয়, সংগীত, ফ্যাশন, ব্যবসা ও সোশ্যাল মিডিয়া—সবখান থেকেই উপার্জনের মাধ্যমে তিনি এখন প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলারের মালিক।