‘বিদেশিদের হাতে যাওয়ার আগে ছয় মাস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে নিউমুরিং টার্মিনাল’

১ জুলাই ২০২৫ - ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ
 0
‘বিদেশিদের হাতে যাওয়ার আগে ছয় মাস নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে নিউমুরিং টার্মিনাল’

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরের আগে ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি জানান, এই ছয় মাসের ব্যবস্থাপনার মেয়াদ শেষে টার্মিনালটি বিদেশি অপারেটরের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, টার্মিনাল পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষই সিদ্ধান্ত নেবে কারা এটি চালাবে। তবে এ জন্য দরপত্র ডাকা হবে না। সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে ছয় মাসের জন্য অপারেটর নিয়োগ দেয়া হবে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগামীকাল বুধবার (২ জুলাই) নেয়া হবে।

বর্তমানে টার্মিনালটি পরিচালনা করছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৬ জুলাই। এরপর ৭ জুলাই থেকে নৌবাহিনীর মাধ্যমে টার্মিনালটি পরিচালনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় নৌবাহিনী এই দায়িত্ব পালন করবে।

এনসিটির পাঁচটি জেটিতে চারটি সমুদ্রগামী এবং একটি অভ্যন্তরীণ নৌপথের জাহাজ ভিড়তে পারে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় কনটেইনার টার্মিনাল, যেখানে কনটেইনার ওঠানো-নামানোসহ স্থানান্তরের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এর আগে ১৮ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টার্মিনালটি পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সে অনুযায়ী ছয় মাসের জন্য ৪২ কোটি টাকার একটি প্রস্তাবও দেয়া হয়। কিন্তু পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই টার্মিনাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডের হাতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসি (ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এই চুক্তিতে ট্রানজেকশন অ্যাডভাইজার হিসেবে কাজ করছে।