ভারতের তেলেঙ্গানায় রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত বেড়ে ৩৯

ভারতের তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডি জেলার সিগাচি ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি কোম্পানির রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) এই বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হন আরও ৩৪ জন।
মঙ্গলবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে তেলেঙ্গানা সরকার। তবে এর কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটার সময় ১৪০ জনেরও বেশি লোক কাজ করছিলেন কারখানাটিতে। জেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা পি. প্রবিন্য বলেন, নিহতদের মধ্যে পঁচিশ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ছয় মাস ধরে কারখানায় কাজ করা ৩২ বছর বয়সী চন্দন গাউন্ড রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি (প্ল্যান্ট থেকে) বাথরুম ব্যবহার করার জন্য বেরিয়ে এসে একটা জোরে শব্দ শুনতে পাই। বোমা বিস্ফোরণের মতো শব্দ হচ্ছিল। আমি বাইরে এসে আগুন দেখতে পাই। আগুনের একটা অংশ আমার দিকেও ছড়িয়ে পড়ে। আমি দেয়াল লাফিয়ে পালিয়ে যাই। ভেতরে থাকা অনেকেই পালাতে সক্ষম হন, কিন্তু অনেকেই আটকা পড়েছিলেন এবং বেরিয়ে আসতে পারেননি।
সিগাচি কোম্পানি মূলত মাইক্রোক্রিস্টালাইন সেলুলোজ (এমসিসি) তৈরি করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে ফার্মা, খাদ্য, প্রসাধনী এবং বিশেষ রাসায়নিক খাতে ক্লায়েন্টদের সেবা প্রদান করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এমসিসির সংকোচনযোগ্যতা, বাঁধাই বৈশিষ্ট্য এবং ওষুধের নিঃসরণ বৃদ্ধির ক্ষমতা এটিকে ওষুধ উৎপাদনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে পরিচিত করেছে। এটি খাদ্য পণ্যে পিণ্ড তৈরি রোধ করতে, প্রসাধনী পণ্যের গঠন বজায় রাখতে এবং কম ক্যালোরিযুক্ত খাবারে চর্বির বিকল্প হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার একটি পৃথক ঘটনায়, দক্ষিণ তামিলনাড়ু রাজ্যের শিবাকাসি উৎপাদন ক্লাস্টারের একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন নিহত এবং চারজন আহত হয়েছেন।