অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে সোনালি পানি: কীভাবে তৈরি করবেন ভাইরাল ‘গ্লোয়িং ওয়াটার’

২১ জুন ২০২৫ - ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
 0
অন্ধকারে জ্বলজ্বল করছে সোনালি পানি: কীভাবে তৈরি করবেন ভাইরাল ‘গ্লোয়িং ওয়াটার’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছে এক নতুন ট্রেন্ড—‘গ্লোয়িং ওয়াটার’। অন্ধকার ঘরে এক গ্লাস পানিতে সামান্য হলুদ মিশিয়ে দেখা যাচ্ছে ঝলমলে সোনালি আলো। মুঠোফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সহজেই তৈরি করা যাচ্ছে এই অপার্থিব দৃশ্য, যা শিশুসহ সব বয়সী মানুষকে করছে বিস্মিত ও মুগ্ধ।

গ্লোয়িং ওয়াটার আসলে কী?

এই গ্লোয়িং ওয়াটার মূলত একটি আলো প্রতিফলনের খেলা। টিকটকে এর যাত্রা শুরু হলেও, অল্প সময়েই তা ছড়িয়ে পড়ে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্মে। ভিডিওতে দেখা যায়, পানির গ্লাসে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া দিয়ে সেটি ফোনের ফ্ল্যাশলাইটের উপর রেখে অন্ধকারে কীভাবে সোনালি আলো ছড়িয়ে পড়ে।

ঘরেই তৈরি করুন গ্লোয়িং ওয়াটার: ধাপগুলো অনুসরণ করুন—

১. প্রথমে আপনার ফোনের ফ্ল্যাশলাইট অন করুন এবং সেটিকে টেবিলের ওপর উল্টোভাবে রাখুন, যেন আলো ওপরে উঠে।
২. এরপর একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাস নিন এবং সেটিকে ফ্ল্যাশলাইটের ওপর স্থাপন করুন।
৩. গ্লাসে স্বাভাবিক পরিমাণ পানি ঢালুন।
৪. রুমের সব আলো নিভিয়ে দিন, যেন আশপাশে কোনো বাইরের আলো না থাকে।
৫. এবার পানিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে দিন (ভিটামিন বি২ ক্যাপসুল গুঁড়া করে ব্যবহার করলেও একই প্রভাব দেখা যাবে)।
ব্যস, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গ্লাসজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে সোনালি আলোর মায়া।

এই ট্রেন্ড এত জনপ্রিয় কেন?

গ্লোয়িং ওয়াটার ট্রেন্ডটি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মূলত শিশুদের প্রতিক্রিয়ার কারণে। অনেক ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুরা এই দৃশ্য দেখে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে কিংবা উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে ওঠে। কিছু কনটেন্ট নির্মাতা এই আলোকে মিউজিকের ছন্দে উপস্থাপন করছেন, আবার কেউ মজার মিম তৈরি করছেন—‘হলুদের সংকট শুরু হতে চলেছে’ এমন কৌতুক করে।

গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আলো মূলত হলুদের মধ্যে থাকা রিবোফ্লাভিন নামক উপাদানের কারণে তৈরি হয়, যা ইউভি বা ফোন ফ্ল্যাশলাইটের মতো আলোর উৎসে প্রতিফলিত হয়ে গ্লোয়িং ইফেক্ট তৈরি করে।

এই গ্লোয়িং ওয়াটার শুধু একটি আলোর খেলা নয়, এটি একটি নির্ভেজাল আনন্দের উৎস, বিশেষ করে শিশুদের জন্য। সহজ উপায়ে বাড়িতেই তৈরি করা যায় এমন এক ‘জাদু’, যা একইসঙ্গে আনন্দদায়ক ও কল্পনাপ্রবণতার অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।