জাতীয় কবির ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

আজ ২৫ মে (রোববার) পালিত হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এই বিদ্রোহী কবি। তার ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
কাজী নজরুল ছিলেন চির প্রেমের কবি। প্রেম, দ্রোহ, সাম্য ও মানবতার গান গেয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন সর্বজনীন। তার লেখনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার অন্যতম ভিত্তি হয়ে উঠেছিল। তার কবিতা ও গান যুগে যুগে মানুষকে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা যুগিয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও তার গান ছিল মুক্তির বার্তা।
স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং তাকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে ধানমন্ডিতে একটি বাড়ি প্রদান করেন।
জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি
জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ঢাকাসহ কুমিল্লা, ত্রিশাল ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান।
আজ বিকেল ৩টায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে তিন দিনের কেন্দ্রীয় আয়োজনের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এসময় ‘নজরুল পুরস্কার ২০২৩ ও ২০২৪’-এর মনোনীতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। আয়োজনজুড়ে থাকবে আলোচনা, আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও নাটক। ত্রিশালে তিন দিন এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই দিনব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যান্য আয়োজন
বাংলা একাডেমি সকালে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। বিকেল ৪টায় একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে নজরুল বিষয়ক সেমিনার। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।
বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কর্মী সংঘও দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসবের আয়োজন করেছে। আজ সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে শুরু হবে তাদের অনুষ্ঠানমালা। কবির জীবন, সাহিত্য ও চেতনায় আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে এ বছরও নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে নজরুল জয়ন্তী।