আনচেলত্তির নিয়োগকে যেভাবে দেখছেন বিশ্বজয়ী ব্রাজিলিয়ান তারকা

শেষ হয়েছে দীর্ঘ গুঞ্জনের পর্ব। ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ইতালিয়ান কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ছন্নছাড়া সেলেসাওদের হাল ধরতে এই বিশ্বজয়ী কোচ কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে যদিও সংশয় রয়েছে অনেকের, তবে সাবেক ব্রাজিলিয়ান গ্রেট রিভালদো জানালেন, আনচেলত্তির ওপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান কোচ আনচেলত্তি চলতি লা লিগা মৌসুম শেষে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন। ২৬ মে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবেন তিনি। তার অধীনেই ব্রাজিল ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ৫ জুন ইকুয়েডর ও ১০ জুন প্যারাগুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে।
রিভালদো মনে করেন, দেশের দুর্বল পারফরম্যান্স ও সমর্থকদের চাপের মধ্যে আনচেলত্তির মতো একজন অভিজ্ঞ কোচকে বেছে নেয়া হয়েছে ঠিক সিদ্ধান্ত। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তার ব্যক্তিগত পছন্দ ছিল দেশি কোচ। তবুও বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে তিনি আনচেলত্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রিভালদো লেখেন, যাই হোক না কেন, এখন পর্যন্ত আমাদের পাঁচটি বিশ্বকাপই এসেছে দেশি কোচদের হাত ধরে। কোনো বিদেশি কোচ কখনো বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি। তবে আমাদের বর্তমান অবস্থা এমন ছিল, যে একজন সফল, অভিজ্ঞ কোচের প্রয়োজন ছিল। আনচেলত্তি সেই জায়গাটা দারুণভাবে পূরণ করতে পারেন।
২০০২ বিশ্বকাপে লুইস ফেলিপে স্কোলারির মতোই বিশ্বকাপের এক বছর আগে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন আনচেলত্তি। সেই সাফল্যের পুনরাবৃত্তির আশা করছেন রিভালদো।
বিশ্বজয়ী এ ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি আরও বলেন, ইউরোপ ও ব্রাজিলে খেলা ফুটবলারদের সমন্বয়ে তিনি ভারসাম্যপূর্ণ দল গঠন করতে পারেন। সময় কম, তবে জাতীয় দলকে বিশ্লেষণ ও প্রস্তুত করার সুযোগ পেলে আনচেলত্তি আমাদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ এনে দিতে পারেন।
আনচেলত্তির কোচিং ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ। এসি মিলান, চেলসি, পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখ, রিয়াল মাদ্রিদের মতো ক্লাবে তিনি শিরোপা জিতেছেন। এবার তার লক্ষ্য ব্রাজিলকে আবারও বিশ্ব ফুটবলের শীর্ষে ফেরানো। সিবিএফ জানিয়েছে, আপাতত স্বল্প মেয়াদে হলেও বিশ্বকাপ পর্যন্ত তিনি থাকছেন দলের দায়িত্বে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার কাছে ৪-১ গোলে হারের পর কোচ দরিভাল জুনিয়রকে ছাঁটাই করে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন। সেই শুন্যতা পূরণ করতেই আনচেলত্তিকে বেছে নেয়া হয়। এখন দেখার পালা ইতালিয়ান এই কোচ কতটা পাল্টে দিতে পারেন পেলের দেশের ফুটবলের ভাগ্য।