নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান ইসলামি দলের নেতাদের

কমিশনের প্রস্তাব নয়, পুরো নারী সংস্কার কমিশনকেই প্রত্যাখ্যান করার দাবি জানিয়েছেন দেশের ওলামা মাশায়েখরা। গঠন হওয়া কমিশনের সাথে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ও জড়িত মন্তব্য করে নারীদের কাঁধে বন্দুক রেখে ইসলামকে আক্রমণে না করার আহবান জানিয়েছেন ইসলামি আলোচকরা।
বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ককে ধর্ষণ হিসেবে ফৌজদারি আইনে অন্তর্ভুক্ত করা, শ্রম আইন সংশোধন করে যৌনকর্মীদের মর্যাদা ও শ্রম অধিকার নিশ্চিত করাসহ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের করা বেশকিছু সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই সংস্কার কমিশন জাতির চিন্তা, চেতনা ও আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তার প্রত্যাখাত বলে ঘোষণা করছি। সংস্কার কমিশনকেই আমরা প্রত্যাখান করছি, তারা প্রত্যাখাত মানে তাদের রিপোর্টও প্রত্যাখ্যাত।
খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ইসলাম নারীকে ন্যায্য অধিকার দিয়েছে। নারীকে সমানাধিকার নয় ন্যায্য অধিকার দিন। কারণ নারী সমানাধিকার পেলে পুরুষের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পরিষ্কার আহ্বান, নারীকে ন্যায্য অধিকার প্রদান করেন। নারীকে পতিতাবৃত্তির দিকে ঠেলে দিয়ে মাতৃ সমাজের কলঙ্ক বানাবেন না। এ ধরনের সমাজকে ধ্বংস করার, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার অপতৎপরতা বন্ধ করেন।
জামায়াত ও খেলাফত মজলিসের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও এদিন সেমিনারে বক্তব্য রাখেন এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ মাহাদী, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুসহ আরও অনেকে।