বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ পরিবারের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করলেন প্রধান উপদেষ্টা

২০২৪ সালের বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত তিনশ পরিবারের কাছে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব ঘর বিতরণ করা হয়। ঘরের চাবি বিতরণের সময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ড. মুহাম্মদ ইউনুস, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামানসহ সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যা বেড়ে যাচ্ছিল। সবাই ত্রাণ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, সাহায্যের জন্য সারাদেশ ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এটা যে কত বড় বন্যা ছিল তা বুঝতে পেরেছি বন্যা চলে যাওয়ার অনেক পরে। বন্যায় যারা বাড়িঘর হারিয়েছিল, তাদের কোথাও যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। নানাভাবে প্রস্তাব আসছিল, বাড়ির জন্য টাকা দিতে হবে। টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আমি একটু শক্ত অবস্থান নিয়েছিলাম। টাকা দিতে গেলে এই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা অনেক রকম হয়ে যাবে। যারা প্রাপ্য তাদের হাতে পৌঁছাবে না। তখন প্রস্তাব এসেছিল যে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে করার, সেই প্রকল্পের বিষয়ে জানা ছিল না, তবে নামটা জানা ছিল। তখন ভাবলাম যে এটা কী করা যায়, পরে জানলাম এটা সেনাবাহিনী করবে। তখন স্বস্তি পেলাম, আসলে টাকাটা সঠিকভাবে ব্যবহার হবে।
সেনাবাহিনীসহ সবার সহযোগীতায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে বন্যা কবলিতরা উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান, বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য গৃহনির্মাণ বরাদ্দ দেয়া অর্থের অর্ধেকে নির্মাণ কাজ শেষ করায় সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ভালো লাগছে যে, টাকাটার সঠিক ব্যবহার হয়েছে। ঘরটাও সঠিকভাবে নির্মাণ হয়েছে। অনেক সময় টাকা ব্যবহার করা হলেও গুণগতমান ঠিক হয় না। আজকে গুণগতমানের ব্যাপারেও আশ্বস্ত হলাম। আমরা যে টাকা দিয়েছিলাম তার অর্ধেক টাকাতে কাজটা হয়েছে। উল্টো খবর। সাধারণত যে টাকা দেওয়া হয়, তার দ্বিগুণ চাওয়া হয়। এখানে যা দেওয়া আছে তার অর্ধেক ব্যবহার হয়েছে। একটা আনন্দের খবর।
তিনি আরও বলেন, এর মাধ্যমে সঠিক এবং সৎভাবে কাজ করার এ দৃষ্টান্ত সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে। মাথা গোজার ঠাই হয়েছে এবার সন্তানদের উন্নত ভবিষ্যতের দিকে নজরদের পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।