ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দুই শতাধিক এমপির চিঠি

২৬ জুলাই ২০২৫ - ০৯:১৩ পূর্বাহ্ণ
 0
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে দুই শতাধিক এমপির চিঠি

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ২২০ জন সংসদ সদস্য একটি যৌথ চিঠি দিয়েছেন। নয়টি রাজনৈতিক দলের এসব সংসদ সদস্যের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি লেবার পার্টির এমপি। খবর বিবিসির।

চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতি "একটি শক্তিশালী বার্তা" দেবে এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের দুই-রাষ্ট্র সমাধানের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা ফ্রান্সের ঘোষণার পর ব্রিটিশ এমপিরা এই পদক্ষেপ নিলেন।

স্টারমার অবশ্য এর আগে এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতি অবশ্যই প্রয়োজনীয়, তবে তা একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে হওয়া উচিত যা শেষ পর্যন্ত দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানে গড়ায়।

তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের সঙ্গে মিলে একটি শান্তিপথ খুঁজে পেতে কাজ করছি, যা বাস্তবসম্মত সমাধানের মাধ্যমে এই যুদ্ধের ভুক্তভোগীদের জীবনে পরিবর্তন আনবে। সেই শান্তিপথ নির্ধারণ করবে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির পরবর্তী কংক্রিট পদক্ষেপসমূহ।”

স্টারমার আরও বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি অবশ্যই সেই পদক্ষেপগুলোর একটি। আমি এতে কোনো দ্বিধা করি না। তবে এটি এমন একটি পরিকল্পনার অংশ হতে হবে, যা শেষ পর্যন্ত দুই-রাষ্ট্র সমাধান এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের জন্য স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় স্টারমার ঘোষণা দেন, ব্রিটিশ সরকার "সব ধরনের প্রচেষ্টা" চালাবে যেন ফিলিস্তিনিদের কাছে খাদ্য এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছানো যায় এবং যেসব শিশুদের জরুরি চিকিৎসা দরকার, তাদের সরিয়ে আনা যায়।

তিনি এক্সে দেয়া পোস্টে বলেন, “এই মানবিক বিপর্যয় অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।” একই দিন এক ভিডিও বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইসরায়েল অনুমতি দেয়ার পর যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিনিদের জন্য বিমানযোগে ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে ভূমিকা রাখবে।

স্টারমার জানান, “আমরা ইতোমধ্যেই জর্ডানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিলে কাজ করছি যাতে ব্রিটিশ সহায়তা দ্রুত বিমানযোগে গাজায় পৌঁছানো যায়।”

এদিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছেন যেন অবিলম্বে গাজায় সহায়তা প্রবেশের ওপর আরোপিত সীমাবদ্ধতা তুলে নেয়া হয়। যদিও এই বিবৃতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি, তবুও তাতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, এই তিন দেশ একসঙ্গে কাজ করবে যাতে একটি “তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি স্থায়ী নিরাপত্তা ও শান্তি” প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, গাজার মানবিক বিপর্যয় “অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত” এবং ত্রাণপ্রবাহে বাধা দেয়া বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে বিবৃতিতে হামাসকে নিরস্ত্র করার এবং গাজার ভবিষ্যৎ শাসনে হামাসের “কোনো ভূমিকাই থাকবে না” বলে উল্লেখ করা হয়।