বয়স পেরোলেও তারুণ্য অটুট: নিজস্ব রুটিনেই রহস্য খোলসা করলেন আর মাধবন

বলিউডের সুদর্শন অভিনেতা আর মাধবনকে দেখলে অনেকেরই মনে হয়, যেন বয়স তার কাছে হার মেনেছে। ৫৫ পেরোলেও যেভাবে তারুণ্য ধরে রেখেছেন তিনি, তা অবাক করে ভক্তদের। তবে এর পেছনে নেই কোনো বিলাসবহুল ত্বকচর্চা বা কৃত্রিম প্রসাধনী। বরং মাধবন জানালেন, তাঁর সজীব ত্বক ও প্রাণবন্ত চেহারার মূল রহস্য লুকিয়ে আছে প্রাকৃতিক জীবনধারায়—নারকেল তেল, পর্যাপ্ত ঘুম, সুষম খাদ্য আর নিয়মিত রোদে সময় কাটানোতেই তাঁর বিশ্বাস।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, “আমি প্রতিদিন সকালে রোদে গলফ খেলি। এতে ত্বক পুড়ে গেলেও তা বলিরেখা কমায় ও ত্বককে করে তোলে দৃঢ়। আমি কোনো বোটক্স বা ফিলার ব্যবহার করিনি। বরং নারকেল তেল ও পানি, প্রচুর রোদ আর নিরামিষ খাদ্যই আমার রুটিন।”
খাদ্যাভ্যাসের প্রসঙ্গে মাধবন আরও বলেন, “ছোটবেলায় আমরা ফ্রিজ ছাড়াই জীবন কাটিয়েছি। ফলে প্রতিদিন ঘরে তাজা রান্না হতো। সেই অভ্যাস এখনো বজায় রেখেছি। প্রক্রিয়াজাত খাবার, পুনরায় গরম করা রান্না কিংবা মৌসুমবহির্ভূত ফল খাওয়া একদম এড়িয়ে চলি। এমনকি শ্যুটিংয়ে নিজের রাঁধুনিকে সঙ্গে রাখি যাতে ডাল-ভাত-সবজির মতো সহজ খাবার খেতে পারি।”
ভাত নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন অভিনেতা। তাঁর ভাষায়, “আমার দাদা-দাদীরা ৯০ বছর পর্যন্ত বেঁচেছিলেন, আর তাঁরা দিনে তিনবেলা ভাত খেতেন। তাই ভাত নিয়ে আমার কোনো ভয় নেই। আমি শুধু শরীরের কথা শুনে খাই—ক্ষুধা পেলে খাই, সময় দেখে নয়। এতে মেজাজ ভালো থাকে, শরীরও চনমনে থাকে।”
চুলের যত্নেও মাধবনের ভরসা প্রাচীন অভ্যাসে। ছোটবেলা থেকেই রবিবারের দিন তিলের তেল দিয়ে সারা শরীরে মালিশ করার রীতি মেনে আসছেন তিনি। অন্য দিনগুলোতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করেন নারকেল তেল। আয়ুর্বেদিক এই রুটিন তিনি ধরে রেখেছেন দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে, যা এখনো উপকার দিচ্ছে।
সব মিলিয়ে মাধবনের বার্তা স্পষ্ট—তারুণ্য ধরে রাখার চাবিকাঠি প্রাকৃতিক জীবনধারা ও দৃঢ় অভ্যাসে। দামি কসমেটিকস নয়, বরং নিজেকে সময় দেওয়া ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসই দীর্ঘদিন তরুণ থাকতে সহায়ক।