কুরবানির পশুর সর্বনিম্ন দাম ৪ লাখ টাকা, দেশটির মধ্যবিত্ত ও প্রবাসীরা বিপাকে

১ জুন ২০২৫ - ০৯:১১ পূর্বাহ্ণ
 0
কুরবানির পশুর সর্বনিম্ন দাম ৪ লাখ টাকা, দেশটির মধ্যবিত্ত ও প্রবাসীরা বিপাকে

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর দুবাইয়ে এবছর কুরবানির পশুর দাম হঠাৎই আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর বাজারে গরুর দাম শুরুই হয়েছে ১২ হাজার দিরহাম থেকে ( বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ লাখ টাকা) চলতি বছর দাম বেড়ে গেছে ৬০-৮০ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে মধ্যবিত্ত ও প্রবাসী মুসলমানদের কুরবানি দেয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।আমিরাত প্রবাসী ভারতীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ আজম জানান, ২০২৩ সালে তিনি একটি সোমালি ষাঁড় কিনেছিলাম মাত্র ৬ হাজার দিরহামে (প্রায় ২ লাখ টাকা)। এবার একই আকারের পশুর দাম শুরুই হচ্ছে ১০ হাজার দিরহাম থেকে।

একই অভিজ্ঞতা হয়েছে পাকিস্তানি প্রবাসী আবদুল শুকুরেরও। তিনি বলেন, 'দুই বছর আগে এক হাজার ৬০০ দিরহামে (প্রায় ৫২ হাজার টাকা) ছাগল কিনেছিলাম, এবার সেই আকারের ছাগলের দাম উঠেছে দুই হাজার ৮০০ দিরহামে (প্রায় ৯২ হাজার টাকা)।'দুবাইয়ের আল-কুসাইস পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে পশুগুলোর দাম কিছুটা এমন। সোমালি ছাগল (১৫ কেজি ওজনের): শুরু ১,২০০ দিরহাম (প্রায় ৪০ হাজার টাকা), ভারতীয় ছাগল (২৫ কেজি): ২,৮০০ দিরহামের বেশি (প্রায় ৯২ হাজার টাকা), পাকিস্তানি ছাগল (২২ কেজি): শুরু ২,৫০০ দিরহাম (প্রায় ৮২ হাজার টাকা), ষাঁড় (৩৫০–৪০০ কেজি): শুরু ৯,০০০ দিরহাম (প্রায় ৩ লাখ টাকা), বড় ষাঁড় (৪৫০ কেজির বেশি): শুরু ১২,০০০ দিরহাম (প্রায় ৪ লাখ টাকা)। 

মূল্যবৃদ্ধির কারণ কী: পাকিস্তানি পশু ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উসমান জানান, পশু সরবরাহকারীদের খরচ ব্যাপক হারে বেড়েছে। 'খাদ্য, পরিবহন, শুল্ক— সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান থেকে পশু আনা এখন আগের চেয়ে অনেক ব্যয়বহুল।' 

অন্য এক বিক্রেতা লালা খান বলেন, 'আগে ছাগল ৫০০-৭০০ দিরহামে বিক্রি করতাম। এখন ছোট সোমালি ছাগলও ১,২০০ দিরহামের নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতারা ক্ষুব্ধ, কিন্তু আমাদের হাতেও উপায় নেই।'

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের তারিখ যতই এগিয়ে আসছে, ততই চাহিদা বাড়ছে এবং দাম আরও বাড়তে পারে। তাই আগেই বুকিং দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।