দেশের ৬ জেলায় বন্যার আশঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল পাড়ি দিয়ে ক্রমেই দুর্বল হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে সকাল থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দেশের ৬ জেলায় বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়, আগামী ২ দিন চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী ও ফেনী নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে মুহুরী নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এতে ফেনীর মুহুরী নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। তবে পরবর্তী একদিনে এসব নদীর পানি সমতল কমতে পারে।
এদিকে আগামী ৩ দিনে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিপোয়াইন, যাদুকাটা, মনু, ধলাই, খোয়াই ও সোমেশ্বরী নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এই সময়ে এসব নদীর পানি সমতল বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে এই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলায় এসব নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

সাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে চলমান বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ। ছবি: চ্যানেল 24
অন্যদিকে রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সমতল আগামী ৩ দিনে বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে তিন্তা নদীর পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এছাড়া আগামী ২ দিন বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলোয় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতার জোয়ার হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, বর্তমানে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৩ দিনে বাড়লেও বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি সমতল বর্তমানে হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এসব নদ-নদীর পানি সমতল আগামী একদিন স্থিতিশীল এবং পরবর্তী ৪ দিনে বৃদ্ধি পেতে পারে। যদিও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এছাড়াও গঙ্গা নদীর পানি সমতল বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এসব নদীর পানি সমতল আগামী ৫ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।