মমতাজকে ৬ দিনের রিমান্ড

মানিকগঞ্জের পৃথক দুই মামলায় মানিকগঞ্জ ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগমকে ৬ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা কাশিমপুর কারাগার থেকে মানিকগঞ্জ কোর্টের কোট কারাগারে নেয়া হয় তাকে। পরে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে বিচারক নূর হোসেন ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন তার।
গত ১৩ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ফোক সম্রাজ্ঞীর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানান। আর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে চারদিনের রিমান্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানা।
এর আগে গত ১২ রাত পৌন ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মমতাজকে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভুক্তভোগী মো. সাগর অংশ নেন। সেদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আসামিরা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করেন। এতে ভুক্তভোগী সাগরের বুকে গুলি লেগে তার শরীরের পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। পরে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এ ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর নিহতের মা মোসা. বিউটি আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়। আর ২৫০-৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার ৪৯ নং এজাহারনামীয় আসামি মমতাজ।
প্রসঙ্গত, মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্য হয়ে ওই বছরই সংরক্ষিত নারী আসনে নবম জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ (সিংগাইর ও হরিরামপুর) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলুর কাছে পরাজিত হন।
বর্তমানে তিনি সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তার সৎ ছেলে সিংগাইর পৌরসভার মেয়র এবং ভাগনে শহিদুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মমতাজ বেগম সংসদে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে অরুচিকর বক্তব্য এবং অধিবেশনে গান গেয়ে ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হন।