কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলি

২৭ এপ্রিল ২০২৫ - ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
 0
কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলি

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনা এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ফলে পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক ফের তলানিতে পৌঁছেছে। এর জেরে পাল্টপাল্টি পদক্ষেপে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে। এর মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে ২২ এপ্রিলের হামলার পর টানা তিনরাত জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল - এলওসি) বরাবর পারমাণবিক শক্তিধর দুইদেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলোর ঘটনা ঘটেছে।

পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়মিত সীমান্ত অতিক্রম করে গুলি চালিয়ে ভারতীয় সেনাদের উসকানি দেয়ার চেষ্টা করছে, এমন দাবি নয়াদিল্লির।গত সপ্তাহে পেহেলগামে ২৬ জন বেসামরিক মানুষের হত্যাকাণ্ড সাম্প্রতিক দশকের অন্যতম বড় সশস্ত্র হামলা এবং ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তির পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঘটনা। পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে যুক্ত একটি সশস্ত্র সংগঠনের জড়িত থাকার প্রমাণ মেলার পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতি ঘটেছে।

নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তানি সেনারা নিয়মিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। ওই রেখার ওপারে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী লঞ্চপ্যাড রয়েছে, যেখান থেকে সন্ত্রাসীরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।গত রাতেও পাকিস্তানের সেনা পোস্ট থেকে 'অকারণ ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি' চালানোর খবর পাওয়া গেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে: '২৬-২৭ এপ্রিল, ২০২৫ রাতের মধ্যে পাকিস্তানি সেনা পোস্ট থেকে তুতমারি গলি এবং রামপুর সেক্টরের বিপরীত দিকে অকারণে ছোট অস্ত্রের গুলি ছোড়া হয়। আমাদের সেনারা যথাযথভাবে ছোট অস্ত্রের মাধ্যমে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।'

এটি তিন রাতের মধ্যে তৃতীয়বার যখন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। এর পাশাপাশি দুই দেশই পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে, যেমন ভিসা বাতিল এবং পরস্পরের দূতাবাস থেকে কূটনৈতিক কর্মীদের প্রত্যাহার করে নেয়া।

দুই দেশের মধ্যে একমাত্র বাণিজ্যিক রুট ওয়াঘা-আটারি সীমান্তও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ভারত সিন্ধু পানিচুক্তিও স্থগিত করেছে, যাতে ভারতীয় অঞ্চলের নদী থেকে পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহ বন্ধ করা যায়। এটি দুই দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে বড় ধরনের উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। এক সাবেক পাকিস্তানি মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, 'যদি পানি ভাগাভাগি বন্ধ করা হয়, তবে সিন্ধু নদীতে রক্ত বইবে।'