জুলাই আন্দোলনের দুর্বার সময়ে নিষিদ্ধ হয়েছিল জামায়াত

২৪-এর কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, হঠাৎ করেই নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি। জামায়াত নেতাদের দাবি, আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেয়ার পরিকল্পনা ছিলো এটি, তবে পা দেয়নি দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে জামায়াতকে নিয়ে আওয়ামী সরকারের কূটচাল কাজে আসেনি।
অবস্থা বেগতিক দেখে তখন নতুন কৌশল নেয় শেখ হাসিনা সরকার। গণমানুষের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতে হুট করে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হয় জামায়াত ইসলামীর রাজনীতি।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, ছাত্রজনতার আন্দোলনের গতিপথ ঘুরিয়ে দিতে যে ফাঁদ পেতেছিল আওয়ামী লীগ, তাতে পা দেয়নি জামায়াত। কারণ, প্রতীক ও নিবন্ধন হারানোর পর তখন নতুন করে হারাবার কিছুই ছিল না। সে সময় আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি সরকারের পতন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘অনেক আগ থেকেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে দাবি করেছে একটি রিরোধী শক্তি। এই সময়ে কেন? হয়তো তারা মনে করেছে জামায়াতকে কেনা যাচ্ছে না, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে জামায়াত নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেয়েছে বটে। তবে, বিশ্লেষকদের মতে, আগামী দিনেও কৌশলের রাজনীতির গুটি হবে জামায়াত।