হকারদের দখলে ফার্মগেট ফুট ওভারব্রিজ, দ্রুতই উচ্ছেদের আশ্বাস সিটি করপোরেশনের

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট। যেখানে ভিআইপি সড়কের দুপাশে আছে মার্কেট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেট্রো স্টেশন, হাসপাতালসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ঝুঁকি এড়িয়ে এখানে রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজের বিকল্প নেই। তাই আগের ফুট ওভারব্রিজটি ভেঙ্গে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ২০৬ ফুট দৈর্ঘ্যের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পদচারি সেতু।
স্থানীয় ও পথচারীদের অভিযোগ, এত সুন্দর একটা ব্রিজে তো এমন পরিবেশ থাকার কথা না। প্রশাসন কি করে সেটা তারাই ভালো বুঝে। এই যে হকার একটা ব্রিজের অর্ধেকের বেশি দুই পাশ থেকে দখল করে রেখেছে, এতে পথচারীদের অনেক সমস্যা হয়। একটা গোষ্টী কিন্তু সব জায়গায় চাঁদা আদায় করে। ওই গোষ্টী কিন্তু আমাদের জন্য এই ব্রিজের দখল নিয়ে গেছে।
তুলনামূলক উঁচু এই ফুটওভার ব্রিজের যুক্ত করা হয়েছে দুটি চলন্ত সিঁড়ি। কিন্তু, প্রায় তিন বছরেও চালু হয়নি তা। বরং অযত্ন-অবহেলায় অনেকটাই বিকল হওয়ার পথে চলন্ত সিঁড়ি দুটি। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের আশ্বাস শিগগিরই এখান থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে ফুট ওভারব্রিজসহ ফার্মগেট এলাকা। চালু হবে চলন্ত সিঁড়িও।
তিনি বলেন, ফুট ওভার ব্রিজের নিরাপত্তা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার আশেপাশের নিরাপত্তার জন্য ফুটওভার ব্রিজে আমরা দুজন করে আনসার দিতে পারি কি না, এটা আমরা চিন্তা করছি। যদি এটা করা হয়, তাহলে তো আনসার থাকলে আর কেউ বসতে পারবে না। আমরা এটাকে ইতিবাচক হিসেবে ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে আলাপ করে দেখি। এ বছর না হলে আগামী অর্থবছরে করে দিব।
কেবল আশ্বাস নয়, রাজধানীর সব ফুটওভার ব্রিজ দখলমুক্ত দেখতে চায় নগরবাসী। সিটি করপোরেশন কি ভূমিকা পালন করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।