‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শুরুর আগেই সোহরাওয়ার্দীতে মানুষের ঢল

‘মার্চ ফর গাজা’ গণজমায়েত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল মানুষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যেতে শুরু করেছে। শাহবাগ ও আশপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় মূল কর্মসূচি শুরু হবে। এরই মধ্যে কর্মসূচিতে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নেমেছে।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেছে মানুষ। মিছিলগুলো কোনোটি শাহবাগ দিয়ে, দোয়েল চত্ত্বর দিয়ে, নীলক্ষেতের দিক থেকে উদ্যানে মিলিত হতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষের হাতে দেশের ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায়।
ফেসবুকে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে একটি ইভেন্ট পেজ তৈরি করেছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ। এই পেজে সংগঠনটি পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে সোহরাওয়ার্দীতে প্রবেশের নির্দেশনা দিয়েছে।বাংলামোটর থেকে রমনা গেট দিয়ে, কাকরাইল মোড় থেকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের গেট দিয়ে, জিরো পয়েন্ট থেকে দোয়েল চত্বর হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে, বকশিবাজার মোড় থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি গেট দিয়ে এবং নীলক্ষেত মোড় থেকে মিছিল উদ্যানে ঢুকবে বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শাহবাগ এলাকায় কোনো গাড়ি চলছে না। শাহবাগ ও আশপাশ দিয়ে হেঁটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করছে মানুষ। টিএসসি এলাকা লোকে লোকারণ্য। তাদের হাতে নানা প্ল্যাকার্ড রয়েছে।
রামপুরা ব্রিজের নিচে ও আফতাবনগর মোড়ে শত শত মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে। ভাটারা, বসুন্ধরা, আফতাবনগর, রামপুরা এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নিয়েছে। তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে রওনা হয়েছে।
তেজগাঁও ও খিলগাঁও এলাকায় প্রচুর মানুষকে ট্রেনের ছাদে চড়ে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আসতে দেখা গেছে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন সংগঠন, ইসলামি বক্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে ‘মার্চ ফর গাজা’ শীর্ষক এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তারা এই কর্মসূচির পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্তা দিয়েছেন। বেলা তিনটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজমায়েত হবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক প্রতীকবিহীন সৃজনশীল ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড, শুধু বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহনের মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেকোনো অপতৎপরতা প্রতিহত করতে সক্রিয় থাকা ও প্রতিরোধ গঠনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই গণজমায়েত কর্মসূচি কেন্দ্র করে কারওয়ান বাজার ও বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নিয়েছে।