জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে নতুন শাসনব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হচ্ছে

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন এবং সামাজিক অস্থিরতার এই ক্রান্তিকালে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশিষ্ট পর্যটন-আবাসন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাবেরা শরমিন হক মনে করেন, জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই দেশের জন্য একটি নতুন কিংবা সংস্কারকৃত শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি।
তিনি বলেন, "যখন রাষ্ট্রে দলীয় স্বার্থ, ক্ষমতা কেন্দ্রীকরণ, দুর্নীতি, নির্বাচনব্যবস্থার সংকট ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে, তখন জাতীয় ঐক্যই হয়ে উঠতে পারে একমাত্র উত্তরণের পথ।"
তার মতে, একটি কার্যকর ও টেকসই শাসনব্যবস্থা গঠনের জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহযোগিতা, সহনশীলতা এবং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া। দেশের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সমঝোতা ও খোলামেলা জাতীয় সংলাপই এই লক্ষ্যে সহায়ক হতে পারে।
সাবেরা শরমিন হক আরও বলেন, “জাতীয় ঐক্য বলতে শুধু রাজনৈতিক স্লোগান বোঝায় না, এটি হতে হবে বাস্তবমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উদ্যোগ। সংবিধান সংস্কার, শাসন ব্যবস্থায় ভারসাম্য আনা, এবং প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।”
তিনি সতর্ক করেন, অবিশ্বাস, দলীয় স্বার্থে বিভাজন সৃষ্টি, এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ জাতীয় ঐক্যের পথে বড় বাধা। তবুও, একটি অভিন্ন লক্ষ্য এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার থাকলে এই ঐক্য অর্জন সম্ভব।
সাবেরা শরমিন হকের ভাষায়, “জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গঠিত নতুন শাসনব্যবস্থা কেবল বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণের পথ দেখাবে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সহনশীল, উন্নয়নশীল এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তিও স্থাপন করবে।
সাবেরা শরমিন হক – বিশিষ্ট পর্যটন ও আবাসন ব্যবসায়ী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক।