শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীর মুখে উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ভয়াবহতা

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাসে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীসহ দগ্ধ অন্তত ৩০ জনকে জাতীয় বার্ন ইউনিটে নেয়ার পাশাপাশি উত্তরার আধুনিক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে অন্তত অর্ধশতাধিক আহতকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবিসহ ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ছাড়াও সেনাবাহিনী ও র্যাবের ডিজি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। সেই সঙ্গে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের মুখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-7 বিজেআই মডেলের ওই প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্তের ভয়াবহতার কথা উঠে এসেছে। বিমানটি যে ভবনে বিধ্বস্ত হয়, সেই ভবনে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলছিল।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিমানটি মাঠের সামনে দিয়ে আসার পরপর পেছন থেকে ভবনে ঢুকে যায়। আমরা পাশেই কাজ করছিলাম, আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। ওই সময় ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীদের অনেকে জানালা দিয়ে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছিল। আবার কেউ কেউ দরজা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে আগুনের কারণে অনেকে বের হতে পারেনি।

এই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের লোক ঘটনাস্থলে আসে। সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা অনেক দগ্ধ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রাইমারি (প্রাথমিক) সেকশনের ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের সাইডগুলোও (দেয়াল) চলে গেছে। অনেক প্রাইমারি স্টুডেন্ট পুড়ে গেছে। যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটিতে মূলত প্রাইমারির ক্লাস হতো। সেখানে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাই বেশি। ওয়ান থেকে ফাইভ-সিস্ক পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সেখানে ক্লাস হতো।
কান্নাভেজা কণ্ঠে এই শিক্ষার্থী বলেন, ছুটির সময় ছিল। কিছু বাচ্চা গেইটের সামনে ছিল। তারা জানতোই না। চোখের পলকে হয়ে গেছে।