সারাবিশ্ব থেকে দেশকে বিচ্ছিন্ন করে চলে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন, প্রাণ যায় ১শ’ জনের

কোটা আন্দোলনের সংঘাতময় একদিন ১৯ জুলাই। এদিন সারা দেশে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রায় একশো জনের প্রাণহানি হয়। শুধু রাজধানীতেই মারা যান ৪৪ জন। সারাবিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে চলতে থাকে আওয়ামী সরকারের দমন-পীড়ন।
১৮ জুলাই তুমুল সংঘর্ষ-সহিংসতা আর প্রাণহানিতে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে থাকলে, পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট। পরদিন, কমপ্লিট শাটডাউনে কার্যত অচল থাকে গোটা দেশ।
ওইদিন ঢাকায় সংঘর্ষের হটস্পট হয়ে ওঠে যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ধানমন্ডি, বাড্ডাসহ আরও কয়েকটি এলাকা। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি, আগুনে শহর পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। ছাত্রজনতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষে রাজধানীতে নিহত হন অন্তত ৪৪ জন।
১৯ জুলাই পুলিশ-বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর নির্বিচার গুলির ঘটনা নাড়া দেয় সমাজের নানা শ্রেণীর মানুষকে। রাজপথে নেমে আসেন সংস্কৃতিকর্মী ও অভিভাবকরা।
অবস্থা সামাল দিতে ওই রাতে নেয়া হয় কারফিউ জারি ও দেখামাত্র গুলির সিদ্ধান্ত। আর আন্দোলনের এ পর্যায়ে এসে পূর্ণ সমর্থন দেয় বিএনপি।
১৯ জুলাইয়ের ব্যাপক প্রাণহানি ও সহিংসতার রেশে আরও তীব্র হতে থাকে আন্দোলন। মধ্যরাত থেকে শুরু হয় কারফিউ।