বাংলাদেশে পুশইন, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ালো পশ্চিমবঙ্গ সরকার

৯ জুলাই ২০২৫ - ০৮:২৫ পূর্বাহ্ণ
 0
বাংলাদেশে পুশইন, ভারত সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ালো পশ্চিমবঙ্গ সরকার

বিগত কয়েক মাস ধরেই ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে বাঙালি ও মুসলিমদের বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে পুশইন করছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বেশিরভাগ সন্দেহভাজনদের পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এসে পুশইন করা হচ্ছে। তবে কেন্দ্র সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিল্লি থেকে আটক করে বাংলাদেশে পুশইন করা একটি পরিবারের বিষয়ে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৬ জুন এক শিশু সন্তানসহ দানিশ শেখ ও তার স্ত্রী সোনালি খাতুন দম্পতিকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়। তারা বীরভূমের পাইকার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করছেন, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে। গত মাসে বাংলাভাষী শ্রমিকদের আটক এবং বাংলাদেশে পাঠানোর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন তিনি। বিজেপি সরকারকে কড়া ভাষায় মমতা বলেছিলেন, বাংলায় কথা বলার কারণে শ্রমিকদের বাংলাদেশি বলে চিহ্নিত করে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এটা বরদাশত করা হবে না।

অবৈধ অভিবাসী বলে দিল্লিতে আটক থাকার পর বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া তিন সদস্যের ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের পাইকার পুলিশের কাছে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। বাসিন্দাদের ফেরত চেয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। পরিবার জানিয়েছে, তারা গত ২০ বছর ধরে দিল্লিতে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করে আসছিল।

পশ্চিমবঙ্গ অভিবাসী শ্রমিক কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য সামিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একটি পরিবারের তিন সদস্যসহ মোট ৬ জন অভিবাসী শ্রমিকের পুশইনের ঘটনায় রাজ্য সরকার আদালতে যাবে। প্রতিদিনই বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলোতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, যেখানে বাংলাভাষী অভিবাসী শ্রমিকদের নিশানা লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। সব প্রমাণপত্র দেখানোর পরেও তাদের এই অবস্থা করা হচ্ছে।’

পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের ৩ সদস্যকে ১৮ জুন দিল্লির রোহিণী এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। তাদের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী উল্লেখ করে দিল্লির এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, সঠিক যাচাই-বাছাইয়ের পরই ওই পরিবারকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছ এবং তাদের কাছে ‘বৈধ কোনো নথিপত্র ছিল না।