কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের যে ১৯ স্থানে রয়েছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নতুন কিছু নয়, তবে সাম্প্রতিক ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনায় ঘাঁটিগুলোর গুরুত্ব ও ঝুঁকি বেড়েছে। একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরান সরাসরি কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। তেহরান স্পষ্ট জানিয়েছে, সব বিকল্প তাদের টেবিলে রয়েছে। খবর বিবিসি বাংলা
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ১৯টি স্থানে রয়েছে মার্কিন সামরিক স্থাপনা। কোথাও আছে যুদ্ধবিমান ও ড্রোন, কোথাও যুদ্ধজাহাজ আর কোথাও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার।
কাতার
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় মার্কিন ঘাঁটি ‘আল উদেইদ’ অবস্থিত কাতারে। এখানে রয়েছে সেন্টকম ও বিমান বাহিনীর ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার। ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন। সম্প্রতি সেখানে ৪০টি বিমান থেকে কমে মাত্র তিনটি বিমান দেখা গেছে, ইরানের পাল্টা হামলা ঠেকাতে এটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ বলে ধারণা।
বাহরাইন
কুয়েত
ক্যাম্প আরিফজান ও আলি আল সালেম বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার মার্কিন সেনা। এটি একটি লজিস্টিক হাব, যেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে সরঞ্জাম ও সেনা পাঠানো হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)
আল ধাফরা বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে মার্কিন ৩৮০তম এয়ার এক্সপিডিশনারি উইং। রয়েছে ড্রোন ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহকারী বিমান। ইরান সংক্রান্ত গোয়েন্দা নজরদারির জন্য এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ইরাক
ইরাকে বর্তমানে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। মূলত কুর্দিস্তানের আল আসাদ ও ইরবিল ঘাঁটি থেকে পরিচালিত হয় অভিযান। গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইরান-মিত্র মিলিশিয়াদের হামলার ঝুঁকি বেড়েছে।
সিরিয়া
প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা সিরিয়ায় অবস্থান করছে, যারা আইএস প্রতিরোধে স্থানীয় বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় নিজেদের ভূমিকা সীমিত করতে ঘাঁটি সংখ্যা কমিয়ে আনছে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি
সৌদি আরব, মিশর, জর্ডান, ইসরায়েলেও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি। এছাড়া জিবুতি ও তুরস্কের ঘাঁটিগুলিও মধ্যপ্রাচ্যের অভিযানে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র।
তেহরানের পক্ষ থেকে বড় ধরনের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ওয়াশিংটন এখন সামরিক বাহিনীকে ‘স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্যাটেলাইট চিত্র বলছে, ইতোমধ্যেই বিমান প্রত্যাহার শুরু হয়েছে।
ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার পারদ চড়লে এই ঘাঁটিগুলো সরাসরি হামলার শিকার হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে ঘাঁটি থাকা মানেই শুধু ‘প্রভাব বিস্তার’ নয়, বরং ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মুখোমুখি হওয়াও।