মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে পুলিশের কেউ জড়ালে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১০ জুন ২০২৫ - ১৩:০৯ অপরাহ্ণ
 0
মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে পুলিশের কেউ জড়ালে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কেউ যদি মামলা বাণিজ্য বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের সরাসরি বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা ও কোনাবাড়ি থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “পুলিশ বাহিনীর সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এজন্য একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পুলিশের কেউ মামলা বাণিজ্য ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত হলে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না। এরইমধ্যে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৪ জনকে আমরা এটাচ করে রেখেছি। ইতোমধ্যে আমি ৩০-৪০ জনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আরও ৩০-৪০ জনকে বাড়িতে পাঠাতে হয়, একটুও কুণ্ঠিত হব না—যদি তারা কোনো রকম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকে।”

দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো দুর্নীতি। এটা আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা যদি আমরা কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারতাম, তাহলে দেশ অনেক অনেক এগিয়ে যেত। এজন্য আমি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই। আপনারা লোকজনকে সচেতন করুন। আপনারা যদি সত্য কথা লেখেন, তাহলে অনেক কিছু ঠিক হয়ে যাবে।”

পুলিশি সেবার ডিজিটাল রূপান্তর নিয়ে তিনি বলেন, “আগে বলা হতো—জিডি ও মামলা পুলিশ নিতে চায় না। এজন্য আমরা ইতোমধ্যে মামলার গ্রহণ প্রক্রিয়া অনলাইনে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এখন জিডি ঘরে বসেই করা যায়। ফলে মামলা করার জন্য মানুষকে থানায় যেতে হয় না, তাই হয়রানিও পোহাতে হয় না।”

রিমান্ডে নির্যাতনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “রিমান্ড নিয়ে নির্যাতনের কথা শুনি। এখন থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা কাঁচের মতো ঘর তৈরি করা হবে, যাতে অন্যরা দেখতে পারে, তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে কি-না।”

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলাগুলোর তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আপনারা জানেন, আগে ১০-১৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা অসংখ্য মানুষের নামে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করত। এবার কী হয়েছে? আপনারাই ১০-১৫ জনের নাম দিয়েছেন, ২০০-২৫০ বেনামি লোককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজন্য মামলার তদন্তে দেরি হচ্ছে। এসব মামলায় যেমন দোষী লোকজন রয়েছে, তেমনি মোটামুটি নির্দোষ অনেক মানুষও রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এজন্য আমরা দেখব—যারা দোষী, তাদের বিচার নিশ্চিত করব। আর যারা নির্দোষ, তারা যাতে কোনোভাবে সাজা না পায়, সে ব্যবস্থা করা হবে।”