দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের দায়িত্বে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। দেশের বাহিরে বসে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে হাসিনাসহ তার দোসরা। এসব অপকৌশল বাস্তবায়নে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে।
তারা বলছেন, আত্মগোপনে থাকা পতিত ফ্যাসিস্টরা নতুন করে হুংকার দিচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের এসব অপকর্ম ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে।
আত্মগোপনে থাকা জাহাঙ্গীর আলমকে ১১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই অডিও রেকর্ডে বলতে শোনা যায়, পৃথিবীর কোনো শক্তি আমাদের বাড়ির মধ্যে গুছিয়ে দিবে না। আমাদের নেতা (শেখ হাসিনা) তার কাজ তিনি করছেন। আমাদের যে কাজ, তা আমাদেরই করতে হবে। নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে হবে। আপনাদের কী করতে হবে, ২৪ ঘণ্টা আগেই তা জানিয়ে দেওয়া হবে। যা বলা হবে-আপনরা নিজ নিজ জায়গা থেকে পালন করবেন। দ্রুতই আপনাদের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
জাহাঙ্গীর বলেন, শুধু ছাত্রলীগে ৩৬ লাখ নেতা থাকার কথা। আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন মিলে ১ কোটি ৭২ লাখ নেতা পদে থাকার কথা ছিল। কিন্তু কী কারণে হয়নি আপনারা সবাই জানেন। আমাদের ভুলত্রুটি ছিল, তাও সবাই জানি। আমরা সবাই কেন্দ্রীয় ও আন্তর্জাতিক নেতা হয়েছি। কিন্তু নিজের ওয়ার্ডের খবর জানি না। নিজের ওয়ার্ডে অন্য কেউ অবস্থান করে দিবে না। নিজ নিজ ওয়ার্ডে নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে হবে। তাহলে সারা দেশেই আমাদের অবস্থান হয়ে যাবে।
আত্মগোপনে থাকা পতিত ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগ নেতাদের এসব নির্দেশনা ভালোভাবে নিচ্ছেন না জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ ছাত্রনেতারা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দল। বিদেশে থেকে তারা দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে। এজন্যই দেশের অভ্যন্তরে পালিয়ে থাকা নেতাদের এসব নির্দেশনা দিচ্ছে। সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের এসব অপকর্ম প্রতিহত করতে হবে।
জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক উস সালেহীন বলেন, ‘তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের এ চক্রান্ত মোকাবিলা করতে হবে। নইলে তারা আত্মগোপনে থেকে অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাবে এবং দেশে অরাজকতা তৈরি করবে।’