তিস্তার পানি কমলেও লালমনিরহাটের ১৫ গ্রাম প্লাবিত, ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়ে লালমনিরহাটে বন্যা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে (৫২.২২ মিটার) প্রবাহিত হয়। এ সময় ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়। তবে বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পানি কিছুটা কমে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে এসেছে।
পানির তোড়ে অনেক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে আমনের বীজতলা ও সদ্য রোপণ করা ধান ডুবে গিয়ে নষ্ট হচ্ছে, ফলে বীজ ও ধানের সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এদিকে আদিতমারী উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। রাস্তা ও মাঠে হাঁটু থেকে কোমর পানি থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
হাতীবান্ধা উপজেলার গোবর্ধন এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘রাতে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করে। এখন ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে, রান্না-বান্না ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছি।’
গোবর্ধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার রায় বলেন, ‘প্রতিবার বন্যায় স্কুলের মাঠ ও রাস্তা ডুবে যায়। কোমর সমান পানি থাকায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউ আসতে পারে না। তাই কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। রাস্তা উঁচু না করা পর্যন্ত সমস্যা চলতেই থাকবে।’