কাতারে ইসরায়েলি হামলা, কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান আরব-ইসলামী নেতাদের
কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তা। তারা এ হামলাকে কাপুরুষোচিত, বিশ্বাসঘাতক ও অপরাধমূলক আখ্যায়িত করেছেন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আরব লীগ মহাসচিব আহমেদ আবুল গেইত বলেন, ‘এই হামলা কাপুরুষতা, বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্বুদ্ধিতার মিশেল।’
তিনি অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘লজ্জাজনক উদাসীনতা ও নীরবতায়’ ইসরায়েল আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গেইত আরব ও ইসলামিক দেশগুলোকে একযোগে কাজ করে ইসরায়েলের ‘যুদ্ধযন্ত্র’ থামানোর আহ্বান জানান।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) মহাসচিব হুসেইন ব্রাহিম তাহা কাতারের প্রতি পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ইসরায়েল ‘অপরাধমূলক লঙ্ঘন’ করেছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তেলআবিবের বিরুদ্ধে কঠোর দাঁতভাঙা জবাবের আহ্বান জানান।
প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল-থানি হামলাকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যায়িত করে বলেন, এটি মধ্যস্থতার মূলনীতির ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি আরও বলেন, হামলাটি আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক প্রথার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তবে দোহা যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের সঙ্গে যৌথভাবে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
আরব ও ইসলামি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এদিন দোহায় একটি প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেন। সোমবার সেখানে জরুরি সম্মেলন বসবে, যেখানে রাষ্ট্রপ্রধানরাও যোগ দেবেন। বৈঠকে এক দশক আগে মিসরের প্রস্তাবিত যৌথ আরব সেনা গঠনের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দোহায় একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচ হামাস নেতা নিহত হন। ওই সময় তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন। অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
